বিদ্যাচর্চার ভূত ভবিষ্যৎ বর্তমান
- রহমতুল্লাহ লিখন ০৫-০৫-২০২৪

গর্ভ থেকেই আওয়াজ শুনি
শৈশবেই মানুষ হবার দিন গুনি
কাগজে কলমে শিক্ষা দীক্ষার নকশা বুনি।
দালান কোঠাতে ভরাবে যে ধরণী
চারিপাশে তারে নিয়ে শুনি
সেই তো গুণী, মহাগুণী।


পয়সার ঘুর্ণির লক্ষ্য আজ শিক্ষা,
যার যত আছে জোর সেই দেয় দীক্ষা।
সরকারি চাকরিতে লাগুক না অর্থ!
পাসের বহর শেষে দিয়ে দাও তা নিঃস্বার্থ।
তুমি মানুষ নও, তুমি তো যোগ্য নও
তুমি যদি টাই সুটে কলমবাজ না হও।


বড় অফিসে তোমার টেবিল যখন
সমাজে তুমি বুদ্ধিজীবী, মূল্যবান যতন
চায়ের দোকানে শ্রোতার আসর তখন।
উপরি যদি থাকে কিছু,
ছুট, সেই চাকরির পিছু পিছু।


গরীব মরলে কার কি?
স্বপ্ন উড়াও উন্নয়নের
বউয়ের চেয়ে দামে বড় ঝি।
না খেয়ে থাক কিছু চাষা
উদর আমার ভরলো কি!
মন তোমার পঁচা বাসি
ডাস্টবিনেতে ফেল কি?


স্বক্ষরেতে জোর আছে খুব
জমা জমি ফ্ল্যাটে ভরেছ পকেট,
ডাকে সবে রাঘব বোয়াল
চাইলেই দিতে পার পরদেশে ডুব।
ঘরে জায়ার গয়না জানে
তুমি আর তোমার আসল রূপ।


সূর্য যতই থাকুক মেঘের খাঁচায়
তাপেই তার জীবন বাঁচায়
মিথ্যা মোহ যতই নাচায়
বিত্ত বৈভব লাভের আশায়
শিক্ষাকে আরও যদি করো পণ্য,
কালে কালে হারাবে মানবতা
দুর্বল হারাবে সাথে বাঁচার অধিকার
কর্তৃপক্ষ দেখাবে নাটক সবার জন্য।


কালান্তরে যত বাড়বে এই ঋণ,
দেয়ালে ঠেকে অনহারের দল
ক্ষুধায় বঞ্চনায় বাড়বে যে বল,
প্রতি ঘাতে সাম্যের তরে
শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড
হাতুড়ি শাবল কোদালে ভাঙবে সেই দিন।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

M2_mohi
০৪-০৫-২০২০ ২০:০৪ মিঃ

সুন্দর উপস্থাপন ।